রাখঢাকের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, আসল চেহারা সামনে আনছে বিজেপি: অশোক স্তম্ভ বিতর্কে কৌশিক

  • By UJNews24 Web Desk | Last Updated 15-07-2022, 12:02:31:pm

সঙ্গত বা অসঙ্গত কি না, সেই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে এ বিষয়টা। বিজেপি এবং আরএসএস মিলে এই সরকারের আসল চেহারাটা বার করে আনছে। তাদের উদ্দেশ্যটা বেরিয়ে আসছে। অনুপম খেরের একটি মন্তব্য দেখলাম, যেখানে তিনি বলেছেন, এটা নতুন ভারতবর্ষের চেহারা। বলেছেন, সিংহের যদি দাঁত থাকে সেটা সে দেখাবে। প্রয়োজন হলে সিংহ কামড়াবেও।

একটা সময় ছিল যখন বিজেপিরও একটা রাখঢাক ছিল। আজ নূপুর শর্মা হোক বা অনুপম খের, তাঁরা যে এ ভাবে দৃঢ় স্বর তুলতে পারছেন, তার কারণ একটাই। ২০২৪-এর লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিজেপি এবং আরএসএসকে তাদের নগ্ন চেহারাটা যে বার করতেই হবে! সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ীই গত দু-তিন বছরে দেশে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি সবই প্রায় রেকর্ড ছুঁয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারীর সংখ্যাও আরও বেড়েছে। এগুলো থেকে যদি মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে হয়, তবে দুটো জিনিসের প্রয়োজন । এক, হিংস্র চেহারাটাকে বার করা। এবং সেই চেহারার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া জীবনের যাবতীয় অশান্তির মূল কারণ কারা। ওরা বোঝাতে চাইবে, সব কিছুই হচ্ছে ধর্মীয় ভেদাভেদের কারণে। কখনও কখনও সঙ্গে বিদেশি শক্তির ভয় দেখানো হবে। কখনও দেশের ভিতরে কিছু শত্রু তৈরি করা হবে। সেটা কখনও বুদ্ধিজীবীদের, কখনও শিল্পীদের। তাঁদের মাওবাদী বলে কিংবা তাঁদের বিদেশি শক্তির চর হিসেবে দেগে দেওয়া হবে। যেমন, মেধা পটেকর থেকে শুরু করে তিস্তা শেতলবাদ পুরো সিভিল সোসাইটিটাকে ধ্বংস করা হবে। বলা হবে দাঁত-নখ না দেখালে তাঁদের সামলানো যাবে না। এবং সংখ্যালঘুদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বলার চেষ্টা চলবে যে এঁদের জন্যই আমজনতা বঞ্চিত হচ্ছে। এবং এর থেকে তাঁদের বিজেপি, আরএসএস-ই বার করবে। সে জন্যই সিংহের চেহারাটা বদলানো হয়েছে।

এখন আর এটাকে আড়াল করার কোনও প্রচেষ্টা বিজেপির নেই। যত দিন যাবে, ২০২৪ যত এগিয়ে আসবে, এ রকম আরও অনেক ঘটনা ঘটতে থাকবে। এগুলো ইচ্ছে করে, পরিকল্পিত ভাবে করা হচ্ছে। অমিত শাহের সরকার রূপকথাগুলোকেও এখন ইতিহাস বলে চালাতে চাইছে। ইতিহাস বদলানোর সংকল্প করেছে তারা।

 

Share this News

RELATED NEWS