‘কথা না শুনলে শাসাতে হয়’, বিদ্যুৎ অফিসের আধিকারিককে হুঁশিয়ারির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

  • By UJNews24 Web Desk | Last Updated 23-08-2022, 03:54:23:pm

কোচবিহার: বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসে ঢুকে ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় নাম জড়ালো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী উদয়ন গুহর ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা বিশু ধরের বিরুদ্ধে। বিদ্যুৎ বণ্টনের আধিকারিকের উদ্দেশে তাঁর হুমকি, ‘দিনহাটাতে থেকে এসব করা যাবে না। যাঁরা কথা শোনেন না তাঁদের মাঝে মাঝে শাসাতে হয়।’

বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসে কর্মরত বাপ্পা দাস। কাজ সংক্রান্ত ভুল-ত্রুটির কারণে অফিসের এক কর্মীকে তিনি তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করেন। এরপর সাসপেনশনের সেই খবর পৌঁছয় তৃণমূল নেতা বিশু ধরের কাছে। বরখাস্ত যাতে না করা হয় সেই দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন তাঁরা। পাল্টা বিশুবাবুর অভিযোগ, বাপ্পা দাস ঘুষ নিয়ে এই বরখাস্ত করিয়েছেন।

এরপর মঙ্গলবার সকালবেলাই বিদ্যুৎ অফিস যান তিনি বিশু ধর। অভিযোগ, সেখানে সকলের সামনে হুমকি দেন বাপ্পাবাবুকে। শুধু হুমকি নয়, পাশাপাশি ওই আধিকারিককে সামাজিক বয়কট করার কথাও বলেন তিনি।

এরপর বিশু ধর টিভি ৯ বাংলায় জানান, ‘যাঁরা কথা শোনেন না, তাঁদের মাঝে-মাঝে একটু শাসানি দিতে হয়। ভদ্র কথায় কাজ না হলে এমন করতে হয়। কারণ এইসব আধিকারিকরা ভাল কথা, গরিব মানুষের কথা বোঝেন না।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা যাঁরা তৃণমূলের কর্মী, পার্টি করি তাঁরা কাউকে শাসাই না। সম্মানের সঙ্গেই কথা বলি। তবে কিছু-কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের না ধমক দিলে সঠিক কাজ করেন না। সেই সকল অফিসারদের কখনও-কখনও অন্য রকম ভাষায় কথা বলতে হয়।’

একই সঙ্গে বাপ্পা দাসের বিরুদ্ধেো ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও, বিষয়টি অস্বীকার করে বাপ্পার বক্তব্য, ‘আমার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে ভুল করছিল। মিটার না দেখে বিল করছিল। তার জন্য প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ছিল আমাদের কাছে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করা হয়। তারপর জানতে পারা যায় বিষয়টি সত্যি। এরপর ওকে তিনমাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়। এরপর ওরা আন্দোলন শুরু করে। বিষয়টিকে ঘোরানোর জন্য আন্দলোন করে ওরা।’

 

Share this News

RELATED NEWS