নতুন নির্বাচন কমিটির হাত ধরে, ভারতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্বের দায়িত্বও ভাগ করে দেওয়া হতে পারে
- By UJNews24 Web Desk | Last Updated 19-11-2022, 11:55:14:am
আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যর্থতা যেন কাটছেই না। শুক্রবার হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) বরখাস্ত করেছে সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটির প্রধান চেতন শর্মা-সহ সকলকে। চলতি বছরের টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় রোহিত শর্মার ভারত (India)। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসির (ICC) কোনও টুর্নামেন্টে জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিটির বাছাই করা দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক সিরিজের সময় প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট মহলে। সাফল্য না পাওয়া ভারতীয় দলের বাছাই নিয়ে মাঝেমধ্যেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিটিতে আসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিতে পারবেন ইচ্ছুক ও উপযুক্ত ব্যক্তিরা। নতুন নির্বাচন কমিটির হাত ধরে, ভারতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্বের দায়িত্বও ভাগ করে দেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
সিনিয়র দল নির্বাচকের অন্তত চার বছরের মেয়াদ থাকে। চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন হরবিন্দর সিং, সুনীল যোশী, দেবাশিস মোহান্তি। যোশী ও হরবিন্দর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিটিতে। ২০২১ সালের এজিএমের পর চেতন শর্মা নির্বাচকদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্রের খবর, নতুন নির্বাচন কমিটিকে তিন ফর্ম্যাটে ভিন্ন অধিনায়ক বাছাই করতে বলা হবে।
টিম ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট তিন ফর্ম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে বিশ্বাসী। কিন্তু পরিকল্পনা যখন কাজে দেয় না, বা সাফল্য যখন ধরা দেয় না তখন অন্য পথে হাঁটতে বাধ্য বিসিসিআই। এ বার সেই ধারা বদলের পথেই হাঁটতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর অর্থ পরিষ্কার, রোহিত শর্মা আর টিম ইন্ডিয়ার তিন ফর্ম্যাটের অধিনায়ক থাকবেন না। ক্রিকেট মহলের মতে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট ও ওয়ান ডে অধিনায়ক থাকবেন রোহিত। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হয়তো অধিনায়ক হতে পারেন ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ অবধি ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফর্ম্যাটে ভারতের অধিনায়কের পদে থাকতে পারেন হার্দিক। এ বার দেখার নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন হওয়ার পর কী সিদ্ধান্ত নেয়।
বিসিসিআইয়ের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্বাচকদের যোগ্যতার মানদণ্ড হল:-
* নূন্যতম খেলা উচিত ছিল
– ৭টি টেস্ট ম্যাচ; বা
– ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ; বা
– ১০টি ওডিআই এবং ২০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ।
* কমপক্ষে ৫ বছর আগে খেলা থেকে অবসর নেওয়া।