চন্দনার বাড়িতে পাত পেড়ে আলুপোস্ত-ভাত খেলেন মিঠুন, নিজে শালপাতার থালা বানালেন বিধায়ক

  • By UJNews24 Web Desk | Last Updated 24-11-2022, 04:28:09:pm

পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়া। পাঁচ দিনের রাঢ়বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে খেলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার কেলাই গ্রামের ভাঙাচোরা কাঁচা রাস্তায় লাল ধুলো উড়িয়ে চন্দনার বাড়িতে যখন হাজির হন তাঁর ‘স্বপ্নের নায়ক’, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বিজেপি বিধায়ক। মিঠুনকে ফুল, মালা, উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান গ্রামের মহিলারা। ‘মহাগুরু’র পছন্দের আলু পোস্ত-সহযোগে মধ্যাহ্নভোজ খাইয়ে আপ্লুত চন্দনা।

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুরের একটি বেসরকারি লজে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করেন মিঠুন। তার ফাঁকে বেলা আড়াইটে নাগাদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে নিয়ে চন্দনার কেলাই গ্রামের বাড়িতে হাজির হন মিঠুন। তাঁকে চোখের দেখা দেখতে গ্রামে হাজির হন আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ।

আতিথেয়তার ত্রুটি রাখেননি চন্দনা। নিজের হাতে সকাল থেকে অনেক পদ রান্না করেন বিধায়ক নিজে। তার পর সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে যান। সেই ফাঁকে বাকি রান্না সারেন তাঁর দুই বোন বন্দনা ও জন্নি বাউড়ি। দুপুরে ‘মহাগুরু’র পাতে চন্দনা সাজিয়ে দেন ভাত, মাছ, সঙ্গে পাঁচমেশালি তরকারি, ডাল ও নায়কের পছন্দের আলু পোস্ত। খাওয়ার মাঝেই মিঠুন বলেন, ‘‘এ খাবারে মিশে রয়েছে ভালবাসা। এ খাবার এমনিই ভাল হয়ে যায়। এটাই আমার পছন্দের খাবার। চন্দনা নিজে হাতে শালপাতা তৈরি করে এনে তাতে আমায় খেতে দিয়েছে।’’

চন্দনা অবশ্য বার বার জানিয়েছেন, তিনি ‘মহাগুরু’কে খাওয়াতে পেরে ধন্য। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট বেলায় টিভির পর্দায় মহাগুরুকে দেখেছিলাম। ভাবতে পারিনি তিনি কোনও দিন আমার বাড়িতে আসবেন বা আমার হাতের রান্না খাবেন। নিজে হাতে তাঁকে খাবার পরিবেশন করে আমি ধন্য।’’ বরাবরই সাদামাটা জীবন চন্দনার। রাজ্যের বিধায়ক হওয়ার পরেও এতটুকু বদলায়নি তাঁর জীবন যাপন। চন্দনার সেই প্রান্তিক জীবন যাপন নজর কেড়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীরও । বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঁকুড়া জেলায় প্রচারে গিয়ে তিনি আশীর্বাদ করেছিলেন চন্দনাকে। এই সহজসরল জীবন যাপনের কারণেই অনেক বিতর্ক কাটিয়ে উঠেছেন চন্দনা।

 

Share this News

RELATED NEWS