ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক ইনিংস শেষ করতে চান সোনিয়া গান্ধী

  • By UJNews24 Web Desk | Last Updated 25-02-2023, 03:37:00:pm

 ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে কংগ্রেসের ৮৫ তম প্লেনারি অধিবেশনে উপস্থিত হলেন কংগ্রসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করে সোনিয়া জানিয়েছেন, এই যাত্রা কংগ্রেসের পক্ষে ‘টার্নিং পয়েন্ট’। এই ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই নিজের রাজনৈতিক ইনিংস শেষ করার বার্তাও দিলেন সোনিয়া গান্ধী। ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরের এই অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন কংগ্রেসের প্রায় ১৫ হাজার নেতা। আগামী লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের রূপরেখাও তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। সেখানে উপস্থিত হয়েই সোনিয়া গান্ধী বললেন, “যে বিষয়টি আমাকে সবথেকে পরিতৃপ্তি দেবে, তা হল ভারত জোড়ো যাত্রা মাধ্যমে আমার ইনিংস শেষ হয়। এই যাত্রা একটি টার্নিং পয়েন্ট। এই যাত্রা প্রমাণ করেছে ভারতের জনগণ সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং সাম্য চাইছে।”

 

ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য এ দিন উঠে এসেছে সোনিয়ার বক্তব্যে। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “জনগণ এবং দলের মধ্যে মত বিনিময়ের উত্তরাধিকারকে নতুন জীবন দিয়েছে। এই যাত্রা দেখিয়ে দিয়েছে মানুষের সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস। মানুষের লড়াইয়ে জন্য কংগ্রেস তৈরি।” যাত্রায় অংশ নেওয়া কংগ্রেস কর্মীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন সোনিয়া। তিনি বলেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার জন্য যে সব কংগ্রেস কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাঁদেরকে আমার অভিনন্দন। আমি বিশেষ করে রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানাতে চায়, যাঁর সংকল্প এবং নেতৃত্ব এই যাত্রার সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”

 

কংগ্রেসের এই অধিবেশন থেকে বিজেপির শাসনকালের সমালোচনাও করেছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি-আরএসএস নিরলসভাবে প্রতিটি একক প্রতিষ্ঠানকে দখল ও ধ্বংস করে নিয়েছে। তাঁরা নির্মম ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে। নিজেদের পছন্দ শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে বিপদে মধ্যে দাঁড় করিয়েছেন। এদের দ্বারা সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, মহিলারা আক্রান্ত। এরা গান্ধীজিকে উপহাস করে। সংবিধান বিরোধী বক্তব্য রাখে।”

 

Share this News

RELATED NEWS